মিগ-২৯ হচ্ছে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি আলোচিত চতুর্থ প্রজন্মের এবং এয়ার সুপেরিয়রিটি যুদ্ধ বিমান। এটির ন্যাটো রিপোর্টিং নাম : Fulcrum. এটিকে রাশিয়ার বিমান নির্মতা প্রতিষ্ঠান মিকোয়ান তৈরী করে।
তৎকালীন সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের McDonnell Douglas F-15 Eagle, General Dynamic F-16 Fighting Falcon প্রভৃতি যুদ্ধ বিমানগুলোর মোকাবিলায় রাশিয়া একটি নতুন যুদ্ধ বিমানের অভাব অনুভব করে, যার থেকে তারা এই মিখোয়ান মিগ-২৯ বিমান তৈরী করে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৬০০+ এই ধরনের বিমান তৈরী করা হয়েছে। এটিকে সর্বপ্রথম ৬ অক্টোবর ১৯৭৭ সালে উড্ডয়ন করা হয় এবং ১৯৮৩ সালে এটি সার্ভিসে আসে।
![]() |
ছবি : Mig-29 Aircraft (Source : Pixabay) |
সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য -
ক্রু : ১ জন
দৈর্ঘ্য : প্রায় ১৭ মিটার
উচ্চতা : প্রায় ১৫ ফুট
খালি অবস্থায় ভর : ১১০০০ কেজি
লোডেড অবস্থায় ভর : ১৬৮০০ কেজি
অস্রসহ ভর : ২১০০০ কেজি
ইঞ্জিন : ২টি ক্লিমোভ আরডি-৩৩কে আফটার বার্নিং টার্বো ফ্যান
সর্বোচ্চ গতি : ২৪৪৫ কিলোমিটার/ঘণ্টা
রেঞ্জ : প্রায় ৭০০ কিলোমিটার
ফেরি রেঞ্জ : প্রায় ২৯০০ কিলোমিটার
অস্রসজ্জা -
- একটি Gryazev Shipunov -30-1 ৩০মি.মি. ক্যানন
- মধ্যম পাল্লার দুটি R-27 আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র
- ৬টি R-73 ও R-60 স্বল্প পাল্লার এয়ার -টু- এয়ার মিসাইল
- বিভিন্ন প্রকার আনগাইডেড রকেট (S-5, S-8, S-24 প্রভৃতি)
- 3000 কেজি বোমা
রাশিয়া, ইউক্রেন, বেলারুশ, বুলগেরিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সার্বিয়া, বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, কাজাখস্তান, মঙ্গোলিয়াসহ প্রায় ৩৮+ দেশ এটিকে ব্যবহার করেছে/করছে।
পৃথিবীর অনেক দেশ এই বিমানটিকে বিভিন্নভাবে আপগ্রেড করে (রাডার, এভয়নিক্স, হার্ড পয়েন্ট ইত্যাদি) এখনো ব্যবহার করছে। কয়কেটি আপগ্রেডেড ভার্শন হলো - Mig-29KUB, Mig-29K, Mig-29OVT, Mig-29MU1/2, Mig-29UBP, Mig-29UPG, Mig-29BM, Mig-29SMT, Mig-29GT, Mig-29SD ইত্যাদি।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ৮টি মিগ-২৯ অপারেট করে।

0 Comments